উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফর

পূর্ণ নাম

উস্তাযের পূর্ণ নাম সাবাহ আস-সালীম। তবে লেখালেখি ও শিক্ষকতার ক্ষেত্রে তিনি আব্দুল্লাহ ইবন জাফর নামটি ব্যবহার করে থাকেন।

ইনবাত গ্রুপের সাথে সম্পর্ক

ইনবাত গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টা ও মূল প্রতিষ্ঠাতা হলেন উস্তায আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর।  উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফরের হাত ধরেই একাডেমি গড়ে তোলার মাধ্যমে ইনবাত গ্রুপের পথচলা শুরু হয় ২০২০ সালে।  তিনি ইনবাতের প্রধান নির্বাহী ইিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ইনবাত এডুকেশনের তাজউইদ বিভাগের প্রধান উস্তায হলে তিনি।

প্রতিষ্ঠাতা

প্রধান নির্বাহী

প্রধান উস্তায

শিক্ষাগত যোগ্যতা

দ্বীনি
দুনিয়াবি

তিনি সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন উস্তাযের নিকট থেকে দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করেছেন। বিশেষত, কুরআন সম্পর্কিত বিষয়ে একাধিক আলেম ও ক্বারীর তত্ত্বাবধানে তিনি গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছেন। পাশাপাশি কওমী মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় ২০২২ সালে ফযিলত পর্যন্ত সম্পন্ন করেছেন এবং চলতি বছরে দাওরাহ হাদীস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন ইন শা আল্লাহ। অবশ্য একাডেমিক পড়াশোনার চেয়ে তিনি উস্তাযদের থেকে সরাসরি শিখতে বেশি মনোযোগ দিয়েছেন।

সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে তিনি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি সাহিত্য এবং যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ গ্লসচেস্টারশায়ারে কম্পিউটিং সায়েন্স বিষয়ে অধ্যয়ন করেছেন (ডিস্টেন্স লার্নিং)। তবে দ্বীনি পরিবেশ ও কিছু সরকারি নীতিগত চাপে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করতে পারেননি। তবুও তিনি স্বশিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞানার্জনে নিবেদিত রয়েছেন।

বিশেষজ্ঞ ক্ষেত্র

উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফর তাঁর শিক্ষা জীবনের বেশিরভাগ সময় তাজউইদুল কুরআনের সাধনা ও অনুশীলনে ব্যয় করেছেন। প্রায় এক দশকের এই যাত্রায় তিনি বহু উস্তাযের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন, তিলাওয়াত উপস্থাপন করেছেন এবং নিয়মিত সংশোধন নিয়েছেন। তাজউইদ বিষয়ে তিনি ধারাবাহিকভাবে গবেষণা করে যাচ্ছেন—কীভাবে বাংলা ভাষাভাষী মুসলিমদের কাছে তাজউইদের মৌলিক জ্ঞান সহজভাবে পৌঁছে দেওয়া যায় এবং এর চর্চা বৃদ্ধি করা যায়। ইতিমধ্যে তাজউইদ বিষয়ে তাঁর একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, যা তাজউইদপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে, আলহামদুলিল্লাহ। এক্ষেত্রে তিনি তাজউইদ বিষয়ে রচিত বহু গুরুত্বপূর্ণ কিতাব গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ইমাম আবু আমর আদ-দানী (রহ.) এর জামিউল বায়ান ফী ক্বিরাআতিস সাবা’, শাইখ মাহমুদ খলিল আল-হুসারী (রহ.) এর আহকামু ক্বিরাআতিল কুরআনিল কারীম, এবং শাইখ আবু মুহাম্মদ সাফওয়াত আয-যাইতি (রহ.)-এর বায়ানুস সাদীদ ফী আহকামিল ক্বিরাআতি ওয়াত-তাজউইদ প্রভৃতি।

তাজউইদের মৌলিক মানযুমাহসমূহ উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফরের অন্যতম আগ্রহের ক্ষেত্র। তিনি মাতনুশ শাতিবিয়্যাহ, ত্বাইয়্যিবাতুন নাশর, মুকাদ্দিমাতুল জাযারিয়্যাহ, আন-নুনিয়্যাতুস সাখাওয়িয়্যাহ, তুহফাতুল আত্বফাল প্রভৃতি মাতন অধ্যয়ন করেছেন। এর মধ্যে মুকাদ্দিমাতুল জাযারিয়্যাহতুহফাতুল আত্বফাল-এর ওপর তাঁর ইজাযা রয়েছে। তাজউইদের এসব মুতুন নিয়ে তিনি তারতীল প্রজেক্টের মাধ্যমে “মানযুমাহ সিরিজ” শিরোনামে নাযমগুলোর বঙ্গানুবাদ ও ব্যাখ্যার কাজ অব্যাহত রেখেছেন, যা শীঘ্রই বই আকারে প্রকাশিত হবে ইন শা আল্লাহ।

কুরআনের ভাষাগত প্রয়োগ ও তাদাব্বুর বিষয়ে উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফর কিছু সময়ের জন্য অভিজ্ঞ উস্তাযদের নিকট অধ্যয়ন করেছেন। এই বিষয়ের ওপর কুরআনের তাদাব্বুর কোর্স‌টি উল্লেখযোগ্য।

কুরআন ও কুরআনের ভাষার ইতিহাস, বিশেষত উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে, ইতিহাসের পাঠে অন্যতম অবহেলিত একটি অধ্যায়। অথচ এ জ্ঞান প্রত্যেকেরই জানা প্রয়োজন। উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফরের ভাষার ইতিহাস বিষয়ে গভীরভাবে অধ্যয়নের সুযোগ হয়েছে। তাঁর রচিত মালামিহু ফিত তাজউইদ গ্রন্থে কুরআন ও আরবি ভাষার ইতিহাসকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ অধ্যায় সংযোজিত আছে।

নিজের দ্বীনের সত্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়ন শুরু করচিলেন, যা তাঁকে রবের পথে আরও অটল ও অবিচল করে তোলে। পরবর্তীতে তাঁর নিয়তে পরিবর্তন আসে—লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় দ্বীনের আলো থেকে দূরে থাকা মানুষদের সত্যের পথে দিশা দেখানো। এ বিষয়ে উস্তাযের এথেইজম, অ্যাগনস্টিসিজম এবং আহলুল কিতাবদের বর্তমান ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে। তাঁর রচিত মালামিহু ফিত তাজউইদ গ্রন্থে এর সুস্পষ্ট প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়।

বিশেষজ্ঞ ক্ষেত্র

উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফর তাঁর শিক্ষা জীবনের বেশিরভাগ সময় তাজউইদুল কুরআনের সাধনা ও অনুশীলনে ব্যয় করেছেন। প্রায় এক দশকের এই যাত্রায় তিনি বহু উস্তাযের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন, তিলাওয়াত উপস্থাপন করেছেন এবং নিয়মিত সংশোধন নিয়েছেন। তাজউইদ বিষয়ে তিনি ধারাবাহিকভাবে গবেষণা করে যাচ্ছেন—কীভাবে বাংলা ভাষাভাষী মুসলিমদের কাছে তাজউইদের মৌলিক জ্ঞান সহজভাবে পৌঁছে দেওয়া যায় এবং এর চর্চা বৃদ্ধি করা যায়। ইতিমধ্যে তাজউইদ বিষয়ে তাঁর একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, যা তাজউইদপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে, আলহামদুলিল্লাহ। এক্ষেত্রে তিনি তাজউইদ বিষয়ে রচিত বহু গুরুত্বপূর্ণ কিতাব গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ইমাম আবু আমর আদ-দানী (রহ.) এর জামিউল বায়ান ফী ক্বিরাআতিস সাবা’, শাইখ মাহমুদ খলিল আল-হুসারী (রহ.) এর আহকামু ক্বিরাআতিল কুরআনিল কারীম, এবং শাইখ আবু মুহাম্মদ সাফওয়াত আয-যাইতি (রহ.)-এর বায়ানুস সাদীদ ফী আহকামিল ক্বিরাআতি ওয়াত-তাজউইদ প্রভৃতি।

তাজউইদের মৌলিক মানযুমাহসমূহ উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফরের অন্যতম আগ্রহের ক্ষেত্র। তিনি মাতনুশ শাতিবিয়্যাহ, ত্বাইয়্যিবাতুন নাশর, আন-নুনিয়্যাতুস সাখাওয়িয়্যাহ, মুকাদ্দিমাতুল জাযারিয়্যাহ, তুহফাতুল আত্বফাল প্রভৃতি মাতন অধ্যয়ন করেছেন। এর মধ্যে মুকাদ্দিমাতুল জাযারিয়্যাহতুহফাতুল আত্বফাল-এর ওপর তাঁর ইজাযা রয়েছে। তাজউইদের এসব মুতুন নিয়ে তিনি তারতীল প্রজেক্টের মাধ্যমে “মানযুমাহ সিরিজ” শিরোনামে নাযমগুলোর বঙ্গানুবাদ ও ব্যাখ্যার কাজ অব্যাহত রেখেছেন, যা শীঘ্রই বই আকারে প্রকাশিত হবে ইন শা আল্লাহ।

কুরআনের ভাষাগত প্রয়োগ ও তাদাব্বুর বিষয়ে উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফর কিছু সময়ের জন্য অভিজ্ঞ উস্তাযদের নিকট অধ্যয়ন করেছেন। এই বিষয়ের ওপর কুরআনের তাদাব্বুর কোর্স‌টি উল্লেখযোগ্য।

কুরআন ও কুরআনের ভাষার ইতিহাস, বিশেষত উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে, ইতিহাসের পাঠে অন্যতম অবহেলিত একটি অধ্যায়। অথচ এ জ্ঞান প্রত্যেকেরই জানা প্রয়োজন। উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফরের ভাষার ইতিহাস বিষয়ে গভীরভাবে অধ্যয়নের সুযোগ হয়েছে। তাঁর রচিত মালামিহু ফিত তাজউইদ গ্রন্থে কুরআন ও আরবি ভাষার ইতিহাসকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ অধ্যায় সংযোজিত আছে।

নিজের দ্বীনের সত্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়ন শুরু করচিলেন, যা তাঁকে রবের পথে আরও অটল ও অবিচল করে তোলে। পরবর্তীতে তাঁর নিয়তে পরিবর্তন আসে—লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় দ্বীনের আলো থেকে দূরে থাকা মানুষদের সত্যের পথে দিশা দেখানো। এ বিষয়ে উস্তাযের এথেইজম, অ্যাগনস্টিসিজম এবং আহলুল কিতাবদের বর্তমান ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে। তাঁর রচিত মালামিহু ফিত তাজউইদ গ্রন্থে এর সুস্পষ্ট প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়।

শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা

প্রায় বছর

ক্বিরাআতের উস্তাযগণ​

শাইখুল মুক্বরি মুহাম্মাদ বিন মানসুর

দশ ক্বিরাআতের ওপর ইজাযাহপ্রাপ্ত
উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফর শাইখের নিকট হাফস আন আসিম রিওয়ায়াতের আহকাম অনুযায়ী পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াত শুনিয়ে ইজাযাহ ও সনদ অর্জন করেছেন। তাঁর এই সনদ মান ও ধারাবাহিকতায় অত্যন্ত শক্তিশালী এবং শিকল সংখ্যায়ও সংক্ষিপ্ত।

শাইখ আবু আরওয়া সাইদ আল-মিসরী

মুক্বরিউর-রিওয়াইয়াতিল মুতাওয়াতির
শাইখ আবু আরওয়া সাইদ আল-মিসরী (হাফি) এর নিকট উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফর দীর্ঘ সময় তাজউইদ ও ক্বিরাআত শাস্ত্রে অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের ধারাবাহিক চর্চা করেছেন। তিনি একজন প্রবীণ ক্বারী এবং মিশরের বহু সুপরিচিত উস্তাযদেরও উস্তায।

শাইখ আব্দুররহমান ফাহিম আল-মিসরী

দশ ক্বিরাআতে ইজাযাপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ হিফয শিক্ষক
শাইখের নিকট উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফর তাহফীযুল কুরআনে ইজাযাহ ও সনদ লাভের উদ্দেশ্যে নিয়মিত তিলাওয়াত পেশ করে যাচ্ছেন। শাইখ আব্দুল্লাহ ফাহিম আল-মিসরী (হাফি) স্বনামধন্য শাইখ আইমান সুয়াইদ (হাফি)-এর একজন শিক্ষার্থী।

শাইখ লাবীব আব্দুল্লাহ আল-মিসরী

একাধিক ক্বিরাআতে ইজাযাপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ হিফয শিক্ষক
উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফর শাইখের নিকট নিয়মিত তিলাওয়াত পেশ করে যাচ্ছেন এবং তাজউইদের বেশ গুরুত্বপূর্ণ‌ পাঠ অধ্যয়ন করেছেন। শাইখ লাবীব আব্দুল্লাহ আল-মিসরী (হাফি) মিশরের বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে উস্তায হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
মানযুমাহর উস্তাযগণ​

শাইখ আমর আহমদ ফায়িক

পরিচালক- আফাক গ্লোবাল একাডেমি; অনুমোদিত শিক্ষক - জামইয়্যাতু মাকনূন (রিয়াদ), সাত ক্বিরাআতের ওপর ইজাযাহপ্রাপ্ত
মুক্বাদ্দিমাতুল জাযারিয়্যাহ, আন-নুনিয়্যাতুস সাখাওয়িয়্যাহ নাযম দুটি শাইখের কাছে অধ্যয়ন করেছেন। উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফর তাঁর নিকট থেকে মুক্বাদ্দিমাতুল জাযারিয়্যাহর ওপর ইজাযাহ ও সনদ লাভ করেছেন।

হুসাইন আলী যায়েদ আল-মিসরী

একাধিক ক্বিরাআতের ওপর ইজাযাহপ্রাপ্ত, মানযুমাহর বিষয়ক অনুমোদিত শিক্ষক
শাইখের কাছে থেকে উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফর 'তুহফাতুল আত্বফাল' ও এর শারহ 'মিনহাতু যিল জালাল' সহ অধ্যয়ন করেছেন এবং তাঁর নিকট থেকে 'তুহফাতুল আত্বফাল' নাযমের ওপর ইজাযাহ ও সনদ লাভ করেছেন।
অন্যান্য উস্তাযগণ​

শাইখ কমারুদ্দীন আহমাদ

ফরিদাবাদ মাদ্রাসার প্রবীণ ও প্রাক্তন শিক্ষক
উস্তায শাইখের নিকট থেকে আদব, আরবি ভাষা, তাদাব্বুর ইত্যাদি বিষয় পৃথকভাবে খণ্ড আকারে শিখেছেন। তাযকিয়াতুন নাফসের জন্য তিনি শাইখ ক্বামারুদ্দীন আহমাদ (হাফি)-এর কাছে শরণাপন্ন হতেন। উস্তাযের প্রথম একক সংকলিত গ্রন্থ মালামিহু ফিত তাজউইদ তিনিই পর্যালোচনা করেছিলেন।

শাইখ খালিদ সাইফুল্লাহ

প্রতিষ্ঠাতা, IHQQA (ইন্ট্যারন্যাশনাল হিফযুল কুরআন ও ক্বিরাআত একাডেমি), ইজাযাহপ্রাপ্ত ক্বারী
উস্তায তাঁর নিকট সম্পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াত করে শুনিয়ে ইজাযাহ আম্মাহ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া তাঁর কাছ উস্তায মাক্বামাতের মাশক্বও করেছেন। তিনি ইমামুল ক্বুররা আহমাদ বিন ইউসুফ আল-আযহারী (হাফি) এর সরাসরি শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি ইন্ট্যারন্যাশনাল হিফযুল কুরআন ও ক্বিরাআত একাডেমি নামক একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।

ক্বারী ওয়ালিউল্লাহ

তাজউইদ শাস্ত্রে পারদর্শী উস্তায
উস্তায তাঁর নিকট থেকেই তাজউইদ শিক্ষার প্রথম পাঠগুলো গ্রহণ করেছেন। তাঁর মাধ্যমেই উস্তায উপলব্ধি করেছেন যে, সাধারণ শিক্ষিত হয়েও তাজউইদ শিক্ষা অর্জন করা কতটা জরুরি। বর্তমানে তিনি একটি মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

শাইখ হাসান আলী

প্রতিষ্ঠাতা, মাদরাসাতু বাইতুল কুরআন
শাইখ হাসান আলী (হাফি)-এর তত্ত্বাবধানে উস্তায দীর্ঘকাল কুরআন হিফয করেছেন। শাইখ ঢাকার মিরপুরে মাদরাসাতু বাইতুল কুরআন প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৭-১৮ সালে উস্তায উক্ত মাদরাসার অধীনস্থ মসজিদে খণ্ডকালীন ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

শাইখ ড. মুহাম্মাদ ইসমাইল হোসেইন

পিএইচডি, কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়, রিয়াদ; প্রাক্তন প্রভাষক, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়
উস্তায শাইখ ড. ইসমাইল (হাফি) থেকে আরবি ভাষার শিক্ষা গ্রহণ করেছেন, যা পরবর্তীতে তার আরবি গ্রন্থসমূহ অধ্যয়নে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

শাইখ ড. আহসান

আরবি ভাষা ও সাহিত্যে পিএইচডি, উম্মুল কুররা ইউনিভার্সিটি
তাঁর নিকট থেকেও উস্তায আরবি ভাষার শিক্ষা গ্রহণ করেছেন, বিশেষত কুরআনের আরবি ভাষায় দীর্ঘ সময় ধরে অধ্যয়ন করেছেন। এই শিক্ষা পরবর্তীতে কুরআনকে গভীরভাবে তাদাব্বুর করতে ব্যাপক সহায়ক হয়েছে।
ইজাযাহ ও সনদ

উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফর শাইখুল মুক্বরি মুহাম্মাদ বিন মানসুর (হাফি) থেকে হাফস আন আসিমের ক্বিরাআতের ওপর ইজাযাহ ও সনদ লাভ করেছেন। এই সনদ মান ও ধারাবাহিকতার দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী, এবং শৃঙ্খল সংখ্যায়ও সংক্ষিপ্ত—যেখানে উস্তায ৩২তম স্থানে রয়েছেন। সনদে একাধিক বিশিষ্ট ও প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সনদে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বসমূহের মধ্যে রয়েছেন:

৪. আহমাদ আবদুল আজিজ আয-যাইয়্যাত

১০.১. শাইখ আল্লামা আবদুর রহমান আল-মুক্বরি আল-আযহারী আল-মিসরী

১০.২. মুহাক্কিক আল-মুক্বাদ্দির আলী বিন মুহাম্মাদ আল-বাদরী আল-মিসরী

১০.৩. শাইখুল কুররা মুহাম্মাদ আস-সামান্নূদী (শাইখ মুনাইয়ার)

১১.২. ক্বারী জামিআ’ আল-আযহার মুহাম্মাদ আল-আজবিকাওয়ী

১৬. শাইখুল ইসলাম শিহাবুদ্দীন আল-উমাইতি

১৭. আল-হাফিয, হুজ্জাতুল কুররা ওয়াল মুহাদ্দিসীন, ইমাম ইবনুল জাযারী

২১. ইমাম আবিল কাসিম আশ-শাত্বিবী

২৪. ইমাম আল-হাফিয আমর আদ-দানী আল-কুরতুবী

২৯. ইমাম হাফস বিন সুলাইমান

উস্তায আব্দুল্লাহ ইবন জাফর সম্পর্কে তাঁর শাইখদের মন্তব্য

আরবী

يشرفني أن أزكي الطالب صباح السليم لتفوقه العلمي المتميز في القرآن وعلومه، فهو نموذج للطالب المجتهد والمثابر، بارك الله في جهوده ووفقه في مسيرته العلمية

বাংলা

আমি ছাত্র সাবাহ আস-সালীমকে তার কুরআন ও কুরআনের জ্ঞানে অসাধারণ পারদর্শিতার জন্য আন্তরিকভাবে সুপারিশ করছি। সে একজন পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী শিক্ষার্থীর আদর্শ উদাহরণ। আল্লাহ তার প্রচেষ্টাকে কবুল করুন এবং তাকে তার জ্ঞানার্জনের পথে সফল করুন।

শাইখ আমর আহমদ ফায়িক

পরিচালক- আফাক গ্লোবাল একাডেমি; অনুমোদিত শিক্ষক - জামইয়্যাতু মাকনূন (রিয়াদ)

আরবী

مَا شَاءَ اللهُ، اللَّهُمَّ بَارِكْ عبدُ اللهِ من طلابي النجباء المجتهدين، وهو شديدُ الحرصِ على الالتزامِ بالمواعيد. يُظهِرُ جديَّةً وإخلاصًا في التعلُّم، ويحرصُ على تصحيحِ الأخطاء. وكلُّ ذلك دليلٌ على فَهْمِهِ واهتمامِهِ. يتعلَّمُ بسرعةٍ، ما شاءَ اللهُ، وقراءتُهُ جميلةٌ جدًّا

 

বাংলা

মাশা আল্লাহ, আল্লাহ বরকত দান করুন। আব্দুল্লাহ আমার মেধাবী ও পরিশ্রমী ছাত্রদের একজন। সে সময়ের ব্যাপারে অত্যন্ত যত্নবান। শিক্ষায় সে আন্তরিকতা ও গুরুত্বের পরিচয় দেয় এবং ভুল সংশোধনের ব্যাপারে যত্নবান। এসবই তার বোঝাপড়া ও আগ্রহের প্রমাণ। সে দ্রুত শেখে, মাশা আল্লাহ। তার কিরাআত খুবই সুন্দর।

শাইখ আব্দুররহমান ফাহিম আল-মিসরী

একাধিক ক্বিরাআতে ইজাযাহপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ হিফয শিক্ষক

আরবী

يشرفني أن أزكي الطالب صباح السليم لتفوقه العلمي المتميز في القرآن وعلومه، فهو نموذج للطالب المجتهد والمثابر، بارك الله في جهوده ووفقه في مسيرته العلمية

বাংলা

আমি ছাত্র সাবাহ আস-সালীমকে তার কুরআন ও কুরআনের জ্ঞানে অসাধারণ পারদর্শিতার জন্য আন্তরিকভাবে সুপারিশ করছি। সে একজন পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী শিক্ষার্থীর আদর্শ উদাহরণ। আল্লাহ তার প্রচেষ্টাকে কবুল করুন এবং তাকে তার জ্ঞানার্জনের পথে সফল করুন।

শাইখ আমর আহমদ ফায়িক

পরিচালক- আফাক গ্লোবাল একাডেমি; অনুমোদিত শিক্ষক - জামইয়্যাতু মাকনূন (রিয়াদ)

আরবী

أحمدُ اللهَ تعالى أن وفّقني للمدارسة مع أخي الكريم الشيخ صباح السالم، وقد لمستُ فيه خلال مدة تعلّمه الجدّ والاجتهاد، والحرص على إتقان تلاوة كتاب الله تعالى. اتّصف بحسن السلوك، والمواظبة على الحضور، واحترامه لأدب طالب العلم، مع حُسن الاستماع والتنفيذ، وقد أتمّ – بفضل الله – متن تحفة الأطفال في أحكام التجويد حفظًا وفهمًا، وقد أجزتهُ فيه بعد أن قرأه عليّ قراءةً متقنة، مستوفيًا لشروط الإجازة، وأسأل الله أن يوفقه لمزيد من العلم والقرآن، وأن يجعله من أهله وخاصته، أحبك في الله أخوك من مصر حسين علي زايد

বাংলা

আমি আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করছি যে, তিনি আমাকে আমার সম্মানিত ভাই শাইখ সাবাহ সালেম-এর সঙ্গে মুতালাআ (শিক্ষা বিনিময়) করার তাওফিক দিয়েছেন। আমি তাঁর শিক্ষাজীবনের পুরো সময়জুড়ে লক্ষ্য করেছি – তিনি ছিলেন অত্যন্ত মনোযোগী, পরিশ্রমী, এবং আল্লাহর কিতাবের তিলাওয়াত শুদ্ধ করার ব্যাপারে আন্তরিকভাবে যত্নবান। তিনি উত্তম চরিত্র, নিয়মিত উপস্থিতি, জ্ঞান অন্বেষণে সৌজন্য ও ভদ্রতা, এবং মনোযোগসহকারে শ্রবণ ও বাস্তবায়নের গুণাবলি দ্বারা বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ছিলেন। তিনি আল্লাহর অনুগ্রহে তাজউইদের “তুহফাতুল আতফাল” নামক মাতনটি হিফ্‌জ এবং অনুধাবনের মাধ্যমে সম্পন্ন করেছেন। তিনি এটি আমাকে শুদ্ধভাবে পাঠ করেছেন, এবং ইজাযার সকল শর্ত পূরণ করার পর আমি তাঁকে তাতে ইজাযা প্রদান করেছি। আমি আল্লাহর কাছে তাঁর জন্য আরও জ্ঞান ও কুরআনের তাওফিক কামনা করি, এবং দোআ করি তিনি যেন তাঁকে আল্লাহর প্রিয় ও ঘনিষ্ঠ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন।

শাইখ হুসাইন আলী যায়েদ আল-মিসরী

মানযুমাহর বিষয়ক অনুমোদিত শিক্ষক

আরবী

أحمدُ اللهَ تعالى أن وفّقني للمدارسة مع أخي الكريم الشيخ صباح السالم، وقد لمستُ فيه خلال مدة تعلّمه الجدّ والاجتهاد، والحرص على إتقان تلاوة كتاب الله تعالى. اتّصف بحسن السلوك، والمواظبة على الحضور، واحترامه لأدب طالب العلم، مع حُسن الاستماع والتنفيذ، وقد أتمّ – بفضل الله – متن تحفة الأطفال في أحكام التجويد حفظًا وفهمًا، وقد أجزتهُ فيه بعد أن قرأه عليّ قراءةً متقنة، مستوفيًا لشروط الإجازة، وأسأل الله أن يوفقه لمزيد من العلم والقرآن، وأن يجعله من أهله وخاصته، أحبك في الله أخوك من مصر حسين علي زايد

বাংলা

আমি আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করছি যে, তিনি আমাকে আমার সম্মানিত ভাই শাইখ সাবাহ সালেম-এর সঙ্গে মুতালাআ (শিক্ষা বিনিময়) করার তাওফিক দিয়েছেন। আমি তাঁর শিক্ষাজীবনের পুরো সময়জুড়ে লক্ষ্য করেছি – তিনি ছিলেন অত্যন্ত মনোযোগী, পরিশ্রমী, এবং আল্লাহর কিতাবের তিলাওয়াত শুদ্ধ করার ব্যাপারে আন্তরিকভাবে যত্নবান। তিনি উত্তম চরিত্র, নিয়মিত উপস্থিতি, জ্ঞান অন্বেষণে সৌজন্য ও ভদ্রতা, এবং মনোযোগসহকারে শ্রবণ ও বাস্তবায়নের গুণাবলি দ্বারা বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ছিলেন। তিনি আল্লাহর অনুগ্রহে তাজউইদের “তুহফাতুল আতফাল” নামক মাতনটি হিফ্‌জ এবং অনুধাবনের মাধ্যমে সম্পন্ন করেছেন। তিনি এটি আমাকে শুদ্ধভাবে পাঠ করেছেন, এবং ইজাযার সকল শর্ত পূরণ করার পর আমি তাঁকে তাতে ইজাযা প্রদান করেছি। আমি আল্লাহর কাছে তাঁর জন্য আরও জ্ঞান ও কুরআনের তাওফিক কামনা করি, এবং দোআ করি তিনি যেন তাঁকে আল্লাহর প্রিয় ও ঘনিষ্ঠ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন।

শাইখ হুসাইন আলী যায়েদ আল-মিসরী

মানযুমাহর বিষয়ক অনুমোদিত শিক্ষক

রচিত বইসমূহ

প্রকাশিতব্য

তুহফাতুল আত্বফাল

অনুবাদক ও ব্যাখ্যাকার

বিস্তারিত জানুন

সংক্ষিপ্ত তাজউইদ

সংকলক

বিস্তারিত জানুন

কুরআনের শব্দ চর্চা‌

প্রধান সংকলক

বিস্তারিত জানুন

মালামিহু ফিত তাজউইদ

সংকলক

বিস্তারিত জানুন

মুহস্বানাত

লেখক ও সম্পাদক

বিস্তারিত জানুন

মুহসিনীন

লেখক ও সম্পাদক

বিস্তারিত জানুন

উস্তাযের সাথে যোগাযোগ

পুরুষদের জন্য উস্তাযের সাথে যোগাযোগ উন্মুক্ত, তবে খুব প্রয়োজন ব্যতীত যোগাযোগ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে। একাডেমি, কোর্স‌, বই ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে যথাযথ দায়িত্বশীলের সাথে যোগাযোগ করুন।

আপনি কি কিছু খুঁজছেন?

Scroll to Top